কচুয়ায় তৃতীয় দফায় মোঃ গোলাম হোসেনের ত্রাণ বিতরণ (সর্বমোট ২০,০০০ পরিবারে মাঝে ত্রাণ পৌঁছে দেয়া হয়েছে)

করোনায় দরিদ্র, অসহায়, নিম্ন ও মধ্যবিত্ত সবাই দিশেহারা । চাঁদপুরের কচুয়ায় করোনাকালে দরিদ্র, অসহায়, নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের দাঁড়িয়েছেন মো. গোলাম হোসেন (সাবেক সচিব ও এনবিআরের চেয়ারম্যান)।বিশেষ করে করোনা প্রার্দুভাবের শুরু হওয়ার পরপরই বিগত মার্চ মাস থেকেই তিনি সাধ্যানুযায়ী সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।

এখন পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে ত্রাণ ও ঈদ উপহার দিয়েছেন তিনি। মূলত প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তিনি করোনাকালের প্রথম থেকে নিজ উপজেলা কচুয়া অসহায় এসব মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।অব্যাহত সহযোগিতা দিয়ে তিনি এসব মানুষের ভরসা হয়ে উঠছেন। গোলাম হোসেন কচুয়া আওয়ামী লীগের নেতা, সাবেক সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান।

করোনা পরিস্থিতিতে ২২ মে শুক্রবার কচুয়ায় অসহায় মানুষের জন্য মানবিক খাদ্য সহায়তাসহ ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করছেন মো. গোলাম হোসেন। উপহার সামগ্রীর মধ্যে ছিল শাড়ি, লুঙ্গি, চিনি ও সেমাই।

কর্মহীন অসহায় ৫ হাজার পরিবারের মাঝে উপজেলার হাশিমপুর ড. মুনসুরউদ্দিন মহিলা কলেজ থেকে ১২টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঈদের শুভেচ্ছা সেমাই চিনি বিতরণ করেন। এ সময় হাশিমপুর, তালতালী বুরগী এলাকার হতদরিদ্রদের মাঝে শাড়ি, লুঙ্গি বিতরণ করা হয়।

এ সময় কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহাদাত হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান হাতেম, চাঁদপুর জেলা পরিষদ সদস্য জুবায়ের হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।তাছাড়াও আলহাজ্ব মোঃ গোলাম হোসেন ভাইয়ের অনুউপস্থিতিতে তারই বড় ভাই আলহাজ্ব মোঃ হুমায়ুন কবির মিয়া সমস্ত বিষয় গুলো তদারকি ও সূষম বন্টন নিশ্চিত করেন । উল্লেখ যে তার বড় ভাই আলহাজ্ব মোঃ হুমায়ুন কবির মিয়া ড. মনসুরউদ্দীন মহিলা কলেজের পরিচালনা পর্ষদের অন্যতম সদস্য ।

এর আগে দুইবার কচুয়া উপজেলায় ত্রাণ বিতরণ করেছেন তিনি। প্রথম দফায় ৭৫০টি পরিবার ও দ্বিতীয় দফায় সাড়ে চার হাজার পরিবারকেত্রাণ সহায়তা প্রদান করা হয়। তৃতীয়বারসহ চলমান করোনা পরিস্থিতিতেমোট ২০ হাজার পরিবারের মাঝে ত্রাণ ও ঈদ শুভেচ্ছা উপহার পৌঁছে দিয়েছেন তিনি।

করোনার মতো এমন মহামারিতে অসহায় মানুষের দাঁড়ানোয় গোলাম হোসেনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ত্রাণ ও ঈদ শুভেচ্ছা পাওয়া অসহায় মানুষ। তারা বলেন, করোনায় উপজেলার বেশিরভাগ মানুষ কর্মহীন। অনেকের ঘরে নেই খাবার। তার উপর ঈদ। নেই কাপড়। এমন দুযোর্গে ত্রাণ আর উপহার দিয়ে ভরসাস্থল হয়ে উঠছেন গোলাম হোসেন। শুধু করোনা নয় যেকোন সময় এসব মানুষের পাশে দাঁড়ান তিনি।

করোনা, ঈদে এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়ানো ও সহযোগিতা প্রসঙ্গে মো. গোলাম হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা বাস্তবায়নে বরাবরের মতো এবারও অসহায় দরিদ্র মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য কাজ করছি। করোনা বিস্তারের শুরুতেও কচুয়ায় ২০ হাজার পরিবারের জন্য খাদ্য সহায়তা দিয়েছি। প্রয়োজনে আগামী দিনেও এমন ধারা অব্যাহত রাখবো।