কচুয়ায় ২০,০০০ হাজারের বেশি নিম্ন আয়ের পরিবারের নিকট প্রবিত্র রমজানের উপহার ও ত্রাণ  সহায়তা পৌঁছে দিয়েছেন সাবেক সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান মোঃ গোলাম হোসেন, এপ্রিল ২০২০| Alhaj Md Ghulam Hussain

প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ইতোমধ্যে বাংলাদেশকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে । চাঁদপুরে ও বিশ্বের এখন পর্যন্ত করোনা পরিস্থিতি তুলে ধরা হলো।

Nbr-Chairman-Md-Ghulam-Hussain-kachua-relief-distribution

কচুয়ায় ত্রাণ ব্যবস্থাপনা ও কচুয়া আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান মোঃ গোলাম হোসেনের সার্বিক কর্মসূচি:| Alhaj Md Ghulam Hussain

Table of Contents

ভিডিও টি দেখতে উপরে ক্লিক করুন (ইন্টারনেটের গতির উপর নিভরশীল) 

কচুয়ায় ত্রাণ বিতরণে সাবেক সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান মোঃ গোলাম হোসেনের প্রচেষ্টা : ৪ হাজার ৫০০টি পরিবার

চাঁদপুরের কচুয়ায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণরোধে সচেতনতার পাশাপাশি ২য় দফা ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচীর আওতায় ৪ হাজার ৫শ’ অসহায় দরিদ্র, নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মাঝে উপহার স্বরূপ খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন সাবেক এনবিআর চেয়ারম্যান ও সচিব মোঃ গোলাম হোসেন।

বৃহস্পতিবার সকালে ড. মুনসুর উদ্দিন মহিলা কলেজ থেকে ১২টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে এ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। খাদ্য সামগ্রীর মাধ্যে ছিল চাল, ডাল, চিনি, ছোলা ও তেল।

এ বিষয়ে সাবেক সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান  মোঃ গোলাম হোসেন বলেন, করোনাভাইরাসে চলমান লকডাউনে অনেক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। অনেকে আবার বাড়ির বাইরেও বের হতে পারছেন না। এতে করে অনেক অসহায়, নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবার সংকটের মধ্যে রয়েছেন।

এ সংকট নিরসনে বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। এ দুর্যোগকালে সরকারের পাশপাশি সমাজের সামর্থ্যবানরাও এগিয়ে আসা উচিত।এরই ধারাবাহিকতায় জনাব হোসেন পবিত্র রমজানকে সামনে রেখে একদল স্বেচ্ছাসেবীর মাধ্যমে অভাবী মানুষের ঘরে ঘরে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

আলহাজ্ব মোঃ গোলাম হোসেন আরো জানান, পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রাক্কালে আবার ত্রাণ বিতরণের জন্য কাজ হচ্ছে। ত্রাণ সামগ্রি বিতরনকালে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ সদস্য মোঃ যোবায়ের হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান হাতেম, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও তদীয় অংগ সংগঠনের নেতা-কর্মীবৃন্দ।

Click Photo to Zoom

৪,৫০০ পরিবারের নিকট ত্রান পৌছে দেয়া সংক্রান্ত আরো বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন 

মহামারী করোনার নিষ্ঠুর আঘাতে আজ মানব সভ্যতা হুমকির সন্মুখীন। বাংলাদেশে এর আঘাতের ভয়াবহতা আমরা ইতোমধ্যে উপলব্ধি করেছি। সরকার আপ্রাণ চেষ্টা করছে জনমনে আত্মবিশ্বাস ও সাহস অটুট রাখতে। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী মানবিকতার মাতা হিসাবে ডাক দিয়েছেন, সকলকে সাহায্যের হাত নিয়ে এগিয়ে আসতে আর কঠোরভাবে করোনা নির্দেশিকা মেনে চলতে।

সরকার সমাজের অতিদরিদ্র ও ভর্নারেবল লোকদের সাহায্যে নানা কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে এসেছে। পাশাপাশি আমাদেরও কাজ করতে হবে। গত মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহে আমরা আমাদের সীমিত সাধ্যে কচুয়ার কিছু পরিবারের কাছে ত্রাণ সামগ্রি পৌছে দিয়েছি

তবে আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন, যারা অবস্থার প্রেক্ষিতে ভাল নেই। অথচ লজ্জায় কারো কাছে হাত পাততে পারছেন না। আসুন, এবারে আমরা এদের জন্য কিছু করার চেষ্টা করি।

আমাদের ত্রাণ কর্মসূচি নির্দিষ্ট লক্ষে পৌছতে করণীয় :

  •  প্রত্যেক ওয়ার্ডে ২০টি পরিবারের লিস্ট তৈরী করতে হবে।
  •  তালিকা তৈরীর সময় এলাকাভিত্তিক অন্যান্যদের সাথে আলোচনা করে নিতে হবে।
  •  তালিকা দলমত-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশষে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতার সাথে তৈরী করতে হবে।
  •  পবিত্র রোজা শুরু হওয়ার আগেই প্রত্যেক ইউনিয়নের দায়িত্ব প্রাপ্তদের কাছে ত্রাণসামগ্রি পৌছে দেয়া হবে।
  •  দায়িত্ব প্রাপ্ত নিজে বা তার ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় গোপনীয়তার সাথে ত্রাণপণ্য নির্দিষ্ট পরিবারের কাছে পৌছে দেবেন।
  • সর্বোপরি, কোন অনিচ্ছাকৃত কারণে কেউ যদি এই কর্মসূচি থেকে বাদ পড়েন, তবে তিনি সরাসরি ইউনিয়নের দায়িত্ব প্রাপ্তদের সাথে, এমনকি আমার সাথে যোগাযোগ করলে সরাসরি তার কাছে পণ্য পৌছে দেয়া হবে। আসুন, মানবতার এই চরম ক্রান্তিকালে আমরা কচুয়াবাসীর পাশে দাঁড়াই । আল্লাহ পাক আমাদের ক্ষুদ্র প্রয়াসকে কবুল করুন ।

কচুয়ায় ত্রাণ বিতরণে মোঃ গোলাম হোসেনের প্রচেষ্টা : ৭৫০টি পরিবার

আমাদের জনগোষ্ঠীর অধিকাংশই গ্রামকেন্দ্রিক এবং দারিদ্র। যাদের মাঝে দিন এনে দিন খাওয়া মানুষের কমতি নাই। ইতিমধ্যে আমরা নিজেদের উদ্যোগে গত মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহে  কচুয়াতে ৭৫০ ব্যাগ ত্রাণ সহযোগিতা প্রদান করেছি।

সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি, কচুয়ার প্রতিটি দারিদ্র্যপীড়িত, দিনমজুর, খেটেখাওয়া মানুষের পাসে দাঁড়াতে। আমরা আমাদের সীমিত সাদ্ধের মধ্যে, কচুয়া থানার কিছু পরিবারের কাছে ত্রাণ সামগ্রি পৌছে দিয়েছি।

তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট আমার নিবেদন, কচুয়ার দারিদ্র মানুষের জন্য সাহায্য ও সহযোগিতার হাত আরো প্রসারিত করার জন্য।

এই করুন সময়ে ও কিছু স্বার্থনেশী কুচক্রী মানুষের বিকৃত কর্মকন্ডের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে, সরকারি ত্রাণ তুলেছেন নিজের ঘরে, যারা দারিদ্র্যপীড়িত খাদ্য লুট করছে তাদের প্রতি আমরা বলিষ্ঠ কণ্ঠে জানাই তীব্র নিন্দা। এটি মুনুষ্য সুলভ আচরণ নয়। আমরা অনুরোধ জানাই, এখনই ফিরে আসুন এই প্রকার ধিক্কার মূলক কর্মকান্ড থেকে।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: ত্রাণ সংকান্ত বিষয়ে সরাসারি যোগাযোগের জন্য বিনীত অনুরোধ করা যাইতেছে।

প্রিয় সুধী সকলের জ্ঞাতার্থে জানানো যাইতেছে, ত্রাণ সংকান্ত বিষয়ে যদি কারো কোনো প্রয়োজন থেকে থাকে, সরাসরি আলহাজ্ব মোঃ গোলাম হোসেন ভাইয়ের সাথে যোগাযোগের জন্য বিনীত অনুরোধ করা যাইতেছে। আলহাজ্ব মোঃ গোলাম হোসেন ভাই সরাসরি আপনার কাছে পণ্য পৌছে দেয়ার ব্যবস্থা করবেন ।

জরুরী প্রয়োজনে কল করুনঃ ০১৭৩০০৬৭০৭০, ০১৭১১১৮৮৪৬৮, ০১৭১৩৩৭৩৭১৭

করোনা ভাইরাসের বিষয়ে পরামর্শ: করোনা ভাইরাস কিভাবে প্রতিরোধ করবেন?

  • ঘন ঘন নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে হাত ধুতে হবে।
  • হাত ধোবেন আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহল মেশানো হ্যান্ডওয়াশ বা সাবান দিয়ে।
  • ঘর থেকে বের হওয়া কমাতে হবে।
  • লকডাউন, আইসোলেশন পদ্ধতি মেনে চেষ্টা করতে হবে।
  • অসুস্থ হলে মাস্ক পরুন।
  • রাস্তার ধুলোবালি এড়িয়ে চলুন।
  • যেখানে সেখানে কফ বা থুতু ফেলা বন্ধ করুন।
  • বিদেশ ভ্রমণ ও প্রবাস থেকে আসা লোকজনের সঙ্গও এড়িয়ে চলুন।
  • অন্যের থেকে অন্তত ৩ ফিট দূরত্বে থাকুন।
  • বাড়ির বাইরে বের হওয়া থেকে বিরত থাকুন।
  • দরজার হাতল, নব, টেলিফোন, রিমোট, সুইচসহ যেসব বস্তু বারবার ব্যবহৃত হয়, সেগুলো নিয়মিত জীবাণুমুক্ত করতে হবে।

বাড়িতে সবাইকে নিয়মিত হাত ধোয়ার অভ্যাস রপ্ত করতে হবে। প্রতিবার খাবার রান্না বা প্রস্তুতের আগে ও পরে, খাবার খাওয়ার আগে ও পরে, বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে, বাইরে থেকে বাসায় ফেরার সঙ্গে সঙ্গে সাবান-পানি দিয়ে হাত ধুতে হবে।

বাইরে থেকে ফিরে যেকোনো বস্তু স্পর্শ করার আগেই হাত সাবান-পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। যেকোনো পার্সেল, প্যাকেট বা অন্য কিছু হাতে নেওয়ার পর হাত ধুয়ে ফেলবেন।

করোনা ভাইরাসের লক্ষণগুলো কি কি?

  • আইইডিসিআরের (IEDCR) তথ্য অনুযায়ী, এই ভাইরাস শরীরে ঢোকার পর সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দিতে ২ থেকে ১৪ দিন সময় লাগে।
  • বেশির ভাগ ক্ষেত্রে করোনারপ্রথম লক্ষণ হয় জ্বর
  • এ ছাড়া শুকনো কাশি বা গলাব্যথা হতে পারে
  • শ্বাসকষ্ট বা নিউমোনিয়া দেখা দিতে পারে
  • আক্রান্ত ব্যক্তির অন্য রোগ, যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, শ্বাসকষ্ট, হৃদ্‌রোগ, কিডনির সমস্যা, ক্যানসার ইত্যাদি থাকলে অরগ্যান ফেইলিওর বা দেহের বিভিন্ন প্রত্যঙ্গ বিকল হতে পারে।

এই রোগ নিয়ে এত আতঙ্কের কারণ হচ্ছে এখন পর্যন্ত এর কোনো টিকা বা প্রতিষেধক আবিষ্কৃত হয়নি। চিকিৎসার শরু হয় লক্ষণ দেখে।

করোনা পরিস্থিতিতে আমাদের করণীয়:

  • সরকার ঘোষিত লকডাউন পুরোপুরি মেনে চলা; সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা। নিজে নিরাপদ থাকা এবং পরিবারকে নিরাপদে রাখা।
  • যারা অবস্থাশীল ব্যক্তি রয়েছেন তাঁদের উচিত হবে অস্বচ্ছল প্রতিবেশী এবং নিকটতম আত্মীয়-স্বজনকে সাধ্যমত সাহায্য করা; দারিদ্র্যপীড়িত, দিনমজুর, খেটেখাওয়া মানুষদের সাহায্য করা তবে সকল ক্ষেত্রে অবশ্যই নিরাপদ দূরত্ব মেনে চলতে হবে।
  • আপনার বাড়ির শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠদের প্রতি যত্নশীল হোন কারণ তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম।
  • সামাজিক সংগঠন, সংস্থাগুলোকে নিরাপত্তা বজায় রেখে স্থানীয় পর্যায়ে হলেও অস্বচ্ছল মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। তবে মনে রাখতে হবে প্রচারণার চেয়ে প্রকৃত কাজটাই এখন মুখ্য।
  •  আরও মিতব্যয়া হতে পরামর্শ দেয়া। তারা যেন তাদের সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার করেন সেজন্য উদ্ধুদ্ধ করা। অপ্রয়োজনীয় খাতে ব্যয় না করেন।
  • গ্রাম অঞ্চলের  পতিত জমিতে ধান, শাক-সব্জি, ফলফলাদির গাছ রোপণে উৎসাহিত করা। প্রয়োজনে তাদের বিশেষ প্রণোদনা প্রদান করা। বীজ ও সার দিয়ে তাদের সহযোগিতা করা যেতে পারে। কিচেন গার্ডেনিং এ উদ্ধুদ্ধ করা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দেয়া।
  • জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় পর্যাপ্ত গুরুত্ব দেয়া; পরিবেশ রক্ষায় কাজ করা।
  • ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্যোগ বা মহামারী মোকাবেলার জন্য নিজেদের প্রস্তুত করা। দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করা।
  • সর্বোপরি সরকারের পক্ষ থেকে যে সকল কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে যে দিকে লক্ষ্য রাখা এবং আমাদের সমাজের মানুষ যাতে তা পেতে পারেন সে ব্যবস্থা করা।

পরিশেষে, সর্বশক্তিমান আল্লাহতালার নিকট প্রার্থনা করছি, তিনি যেন আমাদের এই মহামারী থেকে রক্ষা করনে এবং আমাদের মার্জনা করেন। সকলে নিরাপদ থাকুন, সুস্থ থাকুন এই কামনা করিছি।

ঘন বসতিপূর্ণ এলাকায় বাড়ছে করোনা সংক্রমণঃ

স্থানীয় সংক্রমণ এখন বাংলাদেশে পরিলক্ষিত হচ্ছে। সংক্রমণের দিক থেকে বাংলাদেশ দ্বিতীয় স্তরে প্রবেশ করেছে এবং তৃতীয় স্তরের দিকে এগিয়ে যেতে পারে। এখনই সর্বউত্তম সময় এই ভাইরাস এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর।

শুধু সরকার কে দোষারোপ করে বা বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বা অধিদপ্তর কে দায়ী না করে এগিয়ে আসুন আমরা সবাই মিলে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সোচ্চার হই ও করোনা ভাইরাস এর বিস্তার কে প্রতিহত করি।

কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস – বিস্তারের ভয়াবহতা: প্রতিষেধক নিয়ে গবেষণা চলছে।

কোভিড-১৯ ভাইরাসটি মূলত একটি আরএনএ ভাইরাস যা অন্যান্য করোনাভাইরাস যেমন সার্স ও মার্স গোত্রের সাথে অনেকাংশে মিলে যায়। পার্থক্য শুধু এক জায়গায় যে এই ভাইরাসটির জীনগত বিবর্তনের কারণে মানুষের শরীরের রিসিপটর সাইটগুলোর সাথে ইফেক্টিভলি বাইন্ড করার ক্ষমতা রাখে যা অন্যান্য করোনা গোত্রের ভাইরাসগুলো রাখত না।

যে কারণে এটিকে নোবেল করোনা ভাইরাস (Novel Coronavirus) বলে। এটি অত্যন্ত সংক্রামক এবং প্রতি ১০০ সংক্রমণ আরো ২৫০ জনকে সংক্রমিত করে (তবে এই সংখ্যা বাড়তে ও পারে) ।

ভাইরাসটির জিনোম সিকোয়েন্স চিকিৎসক ও চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা জানেন এবং এর প্রতিষেধক টিকার কার্যকারিতা যাচাইয়ে উন্নত বিশ্ব প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশেও গবেষণার পাশাপাশি প্রাথমিক পর্যায়ে প্রতিষেধক উৎপাদন শুরু করেছে।

করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় চিকিৎসা খাতে আওয়ামী লীগ সরকারের পদক্ষেপ:

প্রাথমিক অবস্থায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা সরঞ্জাম ও রোগ নির্ণয়ের সক্ষমতা কিছুটা কম থাকলেও এখন আমাদের অবস্থা আগের চেয়ে বেশ ভালো । মহান আল্লাহতালার অসীম দয়ায় ও আমাদের প্রানপ্রিয় নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এখন অনেকটাই গুছিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছি ।

যাবতীয় চিকিৎসা ও নিরাপত্তা সরঞ্জাম এর পাশাপাশি নতুন নতুন করোনা টেস্টিং ল্যাব খোলার মাধ্যমে আমরা করোনা আক্রান্তদের  চিহ্নিত করতে পেরেছি এবং করে যাচ্ছি ।

করোনা মোকাবিলায় পর্যাপ্ত আইসোলেশন সেল, স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা সরঞ্জামসহ সরকারের অন্যান্য প্রস্তুতির কথা দৃঢ়তার সাথে বলেছেন।এমনকি দেশ ও মানবতার কল্যানে স্বাধীনতা দিবস, নববর্ষ ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ পালনের আনুষ্ঠানিকতা থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

Mujib 100 logo download
Mujib 100

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিব শতবর্ষ, স্বাধীনতা দিবস ও নববর্ষ উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নাগরিকদের রক্ষা করার অঙ্গীকার আমাদের ভেতর আশার সঞ্চার করে, আমাদেরকে সংকল্পবদ্ধ করে।

জনসচেতনতায় আওয়ামী লীগ সরকারের গৃহিত পদক্ষেপ সমূহ:

ইতোমধ্যে সরকার গত ২৬ই মার্চ থেকে ৩০ই মে তারিখ পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছিল। আইইডিসিআর (IEDCR), গণস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্তব্যরতরা যথাসম্ভব কাজ করে যাচ্ছেন, করোনা পরিস্থিতির ওপর নজর রেখে চলছেন।

সরকারের পাশাপাশি কিছু স্থানীয় সংগঠন, প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্যরা তাদের সাধ্যমতো সতর্কতামূলক প্রচারপত্র, হ্যান্ড  স্যানিটাইজার, মাস্ক ইত্যাদি সহকারে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে।

সরকারের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা পুলিশ, ‎র‍্যাব, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী  সহ বিভিন্ন সংস্থা নিরবচ্ছিন্ন ভাবে কাজ করে যাচ্ছে এই দুর্যোগ মোকাবেলায়।সরকার সদা সোচ্ছার ও তৎপর জনকল্যাণ মূলক কাজে।

  • জেলা উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে পৃথক বেড রাখা হয়েছে। করোনার লক্ষণ দেখা দিলে হটলাইন নাম্বারে যোগাযোগ করার জন্য নির্ধারিত নাম্বার দেয়া হয়েছে।
  •  করোনা রোগীদের জন্য দেশের কয়েকটি হাসপাতাল বরাদ্দ রাখা হয়েছে। মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল, মহানগর হাসপাতাল ও কুর্মিটোলা হাসপাতাল।
  • বিদেশ থেকে যারা আসছেন তাদের তালিকা ঠিকানাসহ জেলা প্রশাসকদের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন আগত প্রবাসীদের হোম কোয়ারেন্টাইন রাখার ব্যবস্থা করছেন। যারা হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার আইন ভঙ্গ করছেন তাদের জরিমানাও করা হচ্ছে।  বিভিন্ন জায়গায় জরিমানা করা হয়েছে।
  • যাদের শরীরে করোনাভাইরাসের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে তাদের আশকোনা হাজিক্যাম্পসহ নিরাপদ স্থানগুলোতে রাখার ব্যবস্থা করেছে।
  • স্কুল কলেজগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ করা হয়েছে। জনপ্রতিনিধিদের অফিসিয়ালি চিঠি দিয়ে সম্পৃক্ত করা হয়েছে।
  •  ইউরিপিয়ান দেশগুলোর সব ফ্লাইট বন্ধ করা হয়েছে।
  • গাইডলাইন, জনসচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন সরকারের পক্ষ থেকে মিডিয়াতে প্রচার করা হচ্ছে। জেলা, উপজেলা পর্যায়ে লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে।
  • পতেঙ্গা ও কক্সবাজারসহ পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
  •  কোনো আবাসিক হোটেলে বিদেশি থাকলে সাথে সাথে স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
  • যাদের হাঁচি, কাশি, জ্বর তাদের জুমা’র নামাজে শামিল না হবার জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
  • চাল, ডালসহ নিত্যপণ্যের বাজার স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসকরা ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় সভা এবং কেউ যেন নিত্যপণ্যের বাড়তি দাম আদায় করতে না পারে সে লক্ষ্যে বাজার মনিটরিং এর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
  • জেলা-উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে তৎপর রাখা হয়েছে।
  • করোনাভাইরাস প্রতিরোধে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের মনিটরিং, জনসচেতনতা বৃদ্ধি, স্কুল ও কোচিং বন্ধ রাখা এবং বাজার ব্যবস্থা স্থিতিশীল রাখার নিমিত্ত প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে টাস্কফোর্স টিম অভিযান পরিচালনা করছে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা :

প্রধানমন্ত্রী ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার  অর্থনৈতিক প্রণোদনার ঘোষণা দিয়েছেন। আর্থিক সহায়তার প্যাকেজ, সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতা বৃদ্ধি, সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি করা ও মুদ্রা সরবরাহ বৃদ্ধি-এ চারটি কার্যক্রম নিয়ে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে দেশে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রভাব ও উত্তরণের কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।

কর্মপরিকল্পনার আর্থিক সহায়তা প্যাকেজের আওতায় এ টাকা দেয়া হবে।

Prime-minister-sheikh-hasina-Photo

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে অবশ্যপালনীয় হিসেবে ৩১ দফা নির্দেশনা দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর এসব নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে—এই ভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতা কার্যক্রম অব্যাহত রাখা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, করোনা উপসর্গ দেখা দিলে লুকিয়ে না রেখে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া, হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা রোগীদের সঙ্গে মানবিক আচরণ, ত্রাণকার্যে স্বচ্ছতা বজায় রাখা এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম জোরদার করা।

পাশাপাশি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর তালিকা করে তাদের কাছে খাদ্য পৌঁছানো, উৎপাদন অব্যাহত রাখার স্বার্থে জমি পতিত ফেলে না রাখা, নববর্ষে সব ধরনের জনসমাগম বর্জন করা, বাজার মনিটরিং, গণমাধ্যমের কর্মীদের যথাযথ দায়িত্ব পালন এবং গুজব ছড়ানো প্রতিরোধসহ জনগণ এবং প্রশাসনের জন্য ৩১ দফা নির্দেশনা রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বৃহস্পতিবার রাতে বাসসকে এ তথ্য জানান।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩১ দফা নির্দেশনাগুলো হচ্ছে—

১) করোনাভাইরাস সম্পর্কে চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ ভাইরাস সম্পর্কিত সচেতনতা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে।

২) লুকোচুরির দরকার নেই, করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।

৩) ব্যক্তিগত সুরক্ষাসামগ্রী (পিপিই) সাধারণভাবে সবার পরার দরকার নেই। চিকিৎসা-সংশ্লিষ্ট সবার জন্য পিপিই নিশ্চিত করতে হবে। এই রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত পিপিই, মাস্কসহ সব চিকিৎসা সরঞ্জাম জীবাণুমুক্ত রাখা এবং বর্জ্য অপসারণের ক্ষেত্রে বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।

৪) কোভিড-১৯ রোগের চিকিৎসায় নিয়োজিত সব চিকিৎসক, নার্স, ল্যাব টেকনিশিয়ান, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, অ্যাম্বুলেন্সচালকসহ সংশ্লিষ্ট সবার স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিশেষ অগ্রাধিকার প্রদান করতে হবে।

৫) যাঁরা হোম কোয়ারেন্টিনে বা আইসোলেশনে আছেন, তাঁদের প্রতি মানবিক আচরণ করতে হবে।

৬) নিয়মিত হাত ধোয়া, মাস্ক ব্যবহার, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ এ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

৭) নদীবেষ্টিত জেলাগুলোতে নৌ অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করতে হবে।

৮) অন্যান্য রোগে আক্রান্ত রোগীদের যথাযথ স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং চিকিৎসাসেবা অব্যাহত রাখতে হবে।

৯) পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা। সারা দেশের সব সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম আরও জোরদার করতে হবে।

১০) আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে দৃষ্টি দিতে হবে। জাতীয় এ দুর্যোগে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগসহ সব সরকারি কর্মকর্তা যথাযথ ও সুষ্ঠু সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছেন, এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।

১১) ত্রাণ কাজে কোনো ধরনের দুর্নীতি সহ্য করা হবে না।

১২) দিনমজুর, শ্রমিক, কৃষক যেন অভুক্ত না থাকেন। তাঁদের সাহায্য করতে হবে। খেটে খাওয়া দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য অতিরিক্ত তালিকা তৈরি করতে হবে।

১৩) সোশ্যাল সেফটিনেট কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

১৪) অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড যেন স্থবির না হয়, সে বিষয়ে যথাযথ নজর দিতে হবে।

১৫) খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থা চালু রাখতে হবে, অধিক ফসল উৎপাদন করতে হবে। খাদ্যনিরাপত্তার জন্য যা যা করা দরকার করতে হবে। কোনো জমি যেন পতিত না থাকে।

১৬) সরবরাহ ব্যবস্থা বজায় রাখতে হবে, যাতে বাজার চালু থাকে।

১৭) সাধারণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

১৮) জনস্বার্থে বাংলা নববর্ষের সব অনুষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে যাতে জনসমাগম না হয়। ঘরে বসে ডিজিটাল পদ্ধতিতে নববর্ষ উদযাপন করতে হবে।

১৯) স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা, সমাজের সব স্তরের জনগণকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রশাসন সবাইকে নিয়ে কাজ করবে।

২০) সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তশালী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলো জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে সমন্বয় করে ত্রাণ ও স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।

২১) জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসন ওয়ার্ডভিত্তিক তালিকা প্রণয়ন করে দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ করবেন।

২২) সমাজের সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী যেমন: কৃষিশ্রমিক, দিনমজুর, রিকশা/ভ্যানচালক, পরিবহনশ্রমিক, ভিক্ষুক, প্রতিবন্ধী, পথশিশু, তালাক/বিধবা নারী এবং হিজড়া সম্প্রদায়ের প্রতি বিশেষ নজর রাখাসহ ত্রাণ সহায়তা প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।

২৩) প্রবীণ নাগরিক ও শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

২৪) দুর্যোগবিষয়ক স্থায়ী আদেশাবলি (এসওডি) যথাযথভাবে প্রতিপালনের জন্য সব সরকারি কর্মচারী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

২৫) নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের উৎপাদন, সরবরাহ ও নিয়মিত বাজারজাতকরণ প্রক্রিয়া মনিটরিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

২৬) আতঙ্কিত হয়ে অতিরিক্ত পণ্য ক্রয় করবেন না। খাদ্যশস্যসহ প্রয়োজনীয় সব পণ্যের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে।

২৭) কৃষকেরা নিয়মিত চাষাবাদ চালিয়ে যাবেন। এ ক্ষেত্রে সরকারি প্রণোদনা অব্যাহত থাকবে।

২৮) সব শিল্পমালিক, ব্যবসায়ী ও ব্যক্তিপর্যায়ে নিজ নিজ শিল্প ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এবং বাড়িঘর পরিষ্কার রাখবেন।

২৯) শিল্পমালিকেরা শ্রমিকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নিজেদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে উৎপাদন অব্যাহত রাখবেন।

৩০) গণমাধ্যমের কর্মীরা জনসচেতনতা সৃষ্টিতে যথাযথ ভূমিকা পালন করে চলেছেন। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের গুজব ও অসত্য তথ্য যাতে বিভ্রান্তি ছড়াতে না পারে, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।

৩১) গুজব রটানো বন্ধ করতে হবে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে নানা গুজব রটানো হচ্ছে। গুজবে কান দেবেন না এবং গুজবে বিচলিত হবেন না।

সূত্র:

1. www.theguardian.com

2. www.somoynews.tv

3. kachua.chandpur.gov.bd

4. www.youtube.com  # করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করছে জাপানের….  #: করোনা প্রতিষেধক : বাংলাদেশে পরীক্ষামূলকভাবে তৈরি হচ্ছে ওষুধ  

5. www.jugantor.com

6. deshsangbadtv.com

7. hilshanews.com

8. corona.gov.bd

9. iedcr.gov.bd

Collected & Edited by: Abu Nasher Md Junaed