‘আসুন, আমরা সচেতন হই, মহামারী করোনাকে জয় করি।’
প্রাণঘাতী মহামারী করোনা ধর্ম-বর্ণ-ধনী-দরিদ্র-দল নির্বিশেষে তার ভয়ংকর থাবা বিস্তার করেই চলেছে। এই মহামারীর কারণে কচুয়ার সকল স্তরের মানুষের জীবন ও জীবিকা আজ বিপর্যস্ত। এর মরণ ছোবলে ইতোমধ্যে আমরা চেয়ারম্যান হাজী আব্দুল হাই মুন্সী, ছায়েদ আলী মিয়া, মুক্তিযাদ্ধা রুহুল আমিন, শাহাদাত হোসেন মানিক, হাফেজ জাকারিয়া সুমন, বাচ্চু মিয়া, আবদুর রব, এনামুল হক ও ফজিলাতুন নেছা প্রমুখকে হারিয়েছি।
অনেকেই এই মহামারীর সাথে যুদ্ধ করে চলেছেন। অসুস্থতা ও বার্ধক্যজনিত কারণে আতাউর রহমান মিন্টু, চেয়ারম্যান ওসমান আলী মোল্লা, সেলিম মাস্টার, আবদুর রব মোল্লা, ইমাম আলী মিয়া, কাজী নজরুল ইসলামসহ অনেকেই মারা গেছেন।
এছাড়াও সারা দেশে অনেক অমূল্য জীবন মহামারী করোনা অকালে কেড়ে নিয়েছে। আসুন সবাই মিলে দোয়া করি, আল্লাহ পাক সকল বিদেহী আত্মাকে শান্তি দিন, শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের শোক বহনের ক্ষমতা দিন, অসুস্থদের রোগ মুক্ত করুন এবং আমাদের সকলকে, আমাদের দেশকে সকল দুর্যোগ ও মহামারী থেকে হেফাজত করুন। আমিন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর সরকার ও জন প্রতিনিধিগন এই মহাদুর্যোগকালে জনগনের পাশে থেকে নিরলস কাজ করছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজে এই মহা সংকট মোকাবিলায় মানুষকে সার্বক্ষণিক সাহস যোগাচ্ছেন, অণুপ্রেরণা দিচ্ছেন, অগ্রগতি তদারক করছেন। এখন সময় এসেছে, আমাদের বিক্ষিপ্ত ব্যক্তি উদ্যোগকে সমন্বয়ের মাধ্যমে সরকারী উদ্যোগের সমার্থক করে এগিয়ে নেয়ার যাতে আমরা এই যুদ্ধে জয়ী হতে পারি।
তাই আসুন, আমরা সকল ভেদাভেদ ভুলে নিজ নিজ সামর্থ অনুযায়ী অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াই। আপনার নিরাপত্তা আপনাকেই নিশ্চিত করতে হবে। আপনার ক্ষণিকের কোন ভুল বা অসাবধানতা আপনার নিজের, এমনকি আপনার পরিবারের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। তাই আসুন, স্বাস্হ্য অধিদপ্তরের প্রদত্ত স্বাস্থ্যবিধি যেমন, ‘ঘরের বাইরে অবশ্যই মাস্ক পরি, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলি, অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে না যাই, বার বার সাবান দিয়ে হাত ধুই’ ইত্যাকার নির্দেশনাসমূহ মেনে চলতে সকলকে উদ্বুদ্ধ করি, অনুপ্রাণিত করি।
সকল অবস্থায় মনোবল শক্ত রাখুন, আপনার প্রতিবেশী কোন আক্রান্ত পরিবারের প্রতি মানবিক থাকুন। আমাদের সম্মিলিত প্রয়াস এই যুদ্ধে আমাদের জয়ী করবে, ইনশাল্লাহ।
অতীতের মতো আমরা আপনাদের পাশেই আছি। আল্লাহ আমাদের সকলকে রক্ষা করুন। আমিন। জয় বাংলা, জয় বংগবন্ধু।
মো: গোলাম হোসেন, সাবেক সচিব ও চেয়ারম্যান, এনবিআর। হাসিমপুর, মিয়ারবাজার, কচুয়া, চাঁদপুর।